কোভিড চিকিত্সায় বড় রকমের সাফল্য নাকি পাওয়া গেছে ‘ডেক্সামিথাসন’ স্টেরয়েড ওষুধ ব্যবহারে। দামেও কম এবং সহজলভ্য এই ওষুধ সংকটাপন্ন রোগীদের ওপর ব্যবহার করে উপযুক্ত ফল পাওয়া গেছে বলে অক্সফোর্ড ইউনিভার্সিটির গবেষকরা দাবি করছেন। করোনার সংক্রমণ ঠেকাতে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার অনুমোদন প্রায় ৭০ রকমের ড্রাগ নিয়ে সলিডারিটি ট্রল করে চলেছে বিশ্বের বিভিন্ন সাইন্স রিসার্চ ইনস্টিটিউট, ফার্মাসিউটিক্যালস এবং বায়োটেকনোলজি কোম্পানি গুলো।
আরও পড়ুন : করোনার অকুল পাথারে একমাত্র খড়কুটো ওষুধ
অক্সফোর্ডের গবেষকদের মতে এই প্রথমবার ডেক্সামিথাসন এর ক্লিনিকাল ট্রায়াল করা হলো। প্রাথমিক ট্রায়ালের রিপোর্ট পর্যবেক্ষণ করে দেখা গেছে ওই ওষুধ যাদের দেয়া হয়েছিল তাদের মধ্যে মৃত্যুর ঝুঁকি ৪০ শতাংশ থেকে ২৮ শতাংশে নেমে এসেছে। অনেকেরই সংকটজনক শ্বাসপ্রশ্বাস জনিত সিনড্রোম কমেছে। প্রধান পর্যবেক্ষক অধ্যাপক হবে বলছেন ডেক্সামেথাসন সংক্রমণে মৃত্যুর হার কমাচ্ছে।
আরও পড়ুন : এবার মাউথ ওয়াশ ব্যবহার করলে মরবে করোনাভাইরাস?
প্রাথমিকভাবে অন্তত কুড়ি জন রোগী ইতিমধ্যেই সংক্রমণ সারিয়ে সুস্থ হয়েছেন। অধ্যাপক জানিয়েছেন একমাত্র সংকটাপন্ন রোগীদের ওপরেই এই ওষুধের করা হয়েছিল জাতিসংঘের বিশেষজ্ঞরা বলছেন যে এই প্রাণঘাতী ভাইরাসের বিরুদ্ধে লড়াইয়ে এই স্বল্পমাত্রার চিকিত্সা এক নতুন ধরনের আবিষ্কার।
আরও পড়ুন : ভারতে করোনা আক্রান্তে রেকর্ড মৃত্যু
এই স্টেরয়েড প্রয়োগের ফলে অনেক রোগীকে হাসপাতালে ভর্তি না করলেও চলে।পরীক্ষায় দেখা গেছে করোনাভাইরাস এর বিরুদ্ধে লড়াইয়ের চেষ্টায় মানুষের শরীরের প্রতিরোধ ব্যবস্থা যখন অতি সক্রিয় হয়ে ওঠে তখন শরীরের ভেতরে যে ক্ষতিগুলো হয় এই ডেক্সামিথাসন সেই ক্ষতি কিছুটা প্রশমন করতে পারে।