নয়াদিল্লি, ২ সেপ্টেম্বর ২০২০ : লকডাউন ঘোষণা হওয়ার আগে থেকেই বন্ধ ছিল সংসদ। উত্তরোত্তর করোনা সংক্রমণ বেড়ে চলায় নতুন করে আর অধিবেশনের কথা ভাবা যায়নি।
সংসদীয় কমিটির বৈঠক থেকে যাবতীয় সরকারি কাজকর্ম চলছে অনলাইনে। কিন্তু এবার আর ভার্চুয়াল নয়, আনলক ফোর-এ, সংসদ ভবনেই হবে অধিবেশন।
আরও পড়ুন করোনা আক্রান্ত গোয়ার মুুখ্যমন্ত্রী
১৪ সেপ্টেম্বর শুরু হচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশন। তার আগেই তুমুল বিতর্ক শুরু হয়েছে সংসদের ‘নিউ নর্মাল’ নির্দেশিকা নিয়ে।
করোনা বিধি মানতে গিয়ে সংসদের চিরাচরিত বেশ কিছু প্রথা এবার বাদ দিতে হচ্ছে, যা ভারতের ৭০ বছরের ইতিহাসে এই প্রথম। নতুন নিয়ম অনুযায়ী, রাজ্যসভা এবং লোকসভার অধিবেশন একসঙ্গে চলবে না।
আলাদা আলাদা সময়ে মাত্র চার ঘণ্টা করে দুই কক্ষের অধিবেশন বসবে। প্রথমে হবে রাজ্যসভার অধিবেশন তারপরে শুরু হবে লোকসভার অধিবেশন। সকাল ন’টা থেকে দুপুর একটা পর্যন্ত রাজ্যসভার অধিবেশন চলবে।
দ্বিতীয় পর্যায়ে, বিকেল চারটের পর আবার শুরু হবে। লোকসভা অধিবেশন চলবে সন্ধে ৭টা পর্যন্ত।
সংসদের অধিবেশন চলবে মাত্র চার ঘণ্টা। তারমধ্যে অধিবেশনের প্রথম ঘন্টা অর্থাৎ প্রশ্নোত্তর পর্ব পুরোপুরি ছেঁটে ফেলার সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।
আরও পড়ুন ভারতে এখনও বাঁচোয়া, বাকি বিশ্বে করোনাজয়ীরা গভীর সংকটে
এই পর্বে বিভিন্ন ইস্যুতে সরকারপক্ষকে প্রশ্ন করার অধিকার পায় বিরোধীরা এবং লিখিত ও মৌখিক ভাবে সরকার সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে বাধ্য থাকে। ১৯৫০ সালের পর এই প্রথমবার সংসদের অধিবেশন সম্পর্কিত এই নতুন সিদ্ধান্ত নিয়ে স্বাভাবিকভাবেই ক্ষুব্ধ বিরোধীরা।
তৃণমূল কংগ্রেস সাংসদ ডেরেক ও’ব্রায়েনের মতে, সরকার সুকৌশলে বিরোধীদের ন্যায্য অধিকার কেড়ে নিতে চাইছে। সংসদের সময়সীমা অপরিবর্তিত থাকা সত্ত্বেও করোনার অজুহাতে ‘কোয়েশ্চন আওয়ার’ বাদ দেওয়ার অর্থ গণতন্ত্রকে হত্যা করা।