Home বঙ্গ ‘ডাক্তারকাকু’ প্রসেনজিৎ উচ্ছ্বসিত নতুন প্রজন্ম নিয়ে

‘ডাক্তারকাকু’ প্রসেনজিৎ উচ্ছ্বসিত নতুন প্রজন্ম নিয়ে

by banganews

‘বিশ্বাসে মিলায় বস্তু, তর্কে বহুদূর’। তাই হয়তো কিছু মানুষ আমাদের বিশ্বাসের মর্যাদা রাখার চেষ্টা করে আর কিছু মানুষ তার সুযোগ নেয়। একই পেশার সঙ্গে যুক্ত বাবা এবং ছেলে। কিন্তু পার্থক্য তাদের চিন্তা ভাবনায়, জীবনকে দেখার দৃষ্টি ভঙ্গিতে। ঠিক যেমনটা বাস্তবে ঘটে ধরুন। পেশায় ‘চিকিৎসক’ বাবা চান মানুষের সেবা করতে আর অন্যদিকে ছেলে ডাক্তার হয়ে চায় আগে কিছুটা নিজের ভালো করতে। করোনা অতিমারি পরিস্থিতিতে আমরা দু ধরনের ডাক্তারকেই দেখেছি যাদের মধ্যে একদল জীবনের পরোয়া না করে নিজেদের জীবনের ঝুঁকি নিয়ে এমনকি অর্থনৈতিক দিকটার কথা ভুলেও ঝাঁপিয়ে পড়েছিল সাধারণ মানুষের জন্য।

 

আবার অন্যদিকে এমন কিছু চিকিৎসকের সঙ্গে আমাদের পরিচয় হয়েছে যারা এই সময় দূরত্ব বাড়িয়ে নিজেদের অর্থনৈতিক দিকটার কথাই আগে ভেবেছে। এমনই দুই ডাক্তারের সঙ্গে পরিচয় করাতে চলেছেন পরিচালক পাভেল। এই ছবিতে ঋদ্ধি সেন এর বাবার ভূমিকায় অভিনয় করতে দেখা যাবে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়কে।

 

টলিউডের অলিখিত অভিভাবক প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় জানিয়েছেন, ‘ডাক্তারকাকু’ পাভেলের সঙ্গে তাঁর প্রথম কাজ হলেও তিনি পাভেলের সব ছবি দেখেছেন৷ খুব সুন্দর ছবি বানান তিনি৷ গতবছরেই ছবিটি করার পরিকল্পনা থাকলেও পরিস্থিতির কারণে তা হয়ে ওঠেনি৷ ডাক্তার নিয়ে আলোচনা সমালোচনা দুটোই হয়৷ বিগত দুবছর সমস্ত স্বাস্থ্যকর্মীরা জীবন বিপন্ন করে মানুষের পাশে দাঁড়িয়েছেন৷

‘ডাক্তারকাকু’ এমন এক চরিত্র যা সমস্ত ডাক্তারদের প্রতিনিধি৷ খুব সুন্দর করে চিত্রনাট্য লিখেছেন পাভেল৷ এনা বয়সে ছোট হলেও নতুন প্রোডাকশানকে উৎসাহ দিয়েছেন প্রসেনজিৎ। ভারতবর্ষের অন্যতম সেরা অভিনেতা ঋদ্ধি এই ছবিতে রয়েছেন। এই নিয়েও উচ্ছ্বসিত প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় ৷

 

পরিচালকের কথায়, “In nothing do men more nearly approach gods than in giving health to men.” এই বাক্যটিকে তিনি নিজেও মনে প্রাণে বিশ্বাস করেন। অতিমারি পরিস্থিতিতেে আমরা  আরো বেশি চিকিৎসকদের মুখাপেক্ষী হয়ে উঠেছি। ‘ডাক্তারকাকুু’ ছবিটি সেই সমস্ত জীবন বিপন্ন করা চিকিৎসকদের উদ্দেশ্যে শ্রদ্ধা জ্ঞাপন। পরিচালক সদ্য শেষ করেছেন তার আরেক ছবি ‘মন খারাপ’। যা  নানা ঘটনাপ্রবাহের মধ্য দিয়ে সাইকোলজির গল্পই বলবে। পরিচালকের ইদানিংকালের ছবির চয়ন দেখে স্পষ্ট করোনা পরিস্থিতিতে মানুষের জীবন তার উপরে অনেকটাই প্রভাব ফেলেছে। আগামী বছর জানুয়ারি মাস থেকে শুরু হবে ছবির শুটিং। ডাক্তার বিধানচন্দ্র রায়ের প্রতি শ্রদ্ধা জানিয়ে ছবিটি মুক্তি পেতে চলেছে আগামী বছর পয়লা জুলাই।

‘ডাক্তরকাকু’ ছবিতে প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায় একজন ডাক্তারের ভূমিকায় অভিনয় করেছেন যিনি তার রোগীদের সেবায় তার জীবন উৎসর্গ করেছেন।  ছবিতে ঋদ্ধি সেন যিনি প্রসেনজিৎ চট্টোপাধ্যায়ের ছেলের চরিত্রে অভিনয় করেছেন তিনিও একজন তরুণ চিকিৎসক। পেশাগত মতান্তরের পরেও কীভাবে পিতা ও সন্তান দুজনেই সমাজের  সার্বিক মঙ্গল সাধন করতে রত হবেন তাই দেখাবে এই ছবি। যেখানে সমস্ত পার্থক্যকে পেছনে ফেলে তারা সমাজের সেবা করার জন্য বদ্ধপরিকর হয়৷ বাংলা চলচ্চিত্রর জগতের সর্বকনিষ্ঠা প্রযোজক এনা সাহার প্রযোজনা সংস্থা জারেক এন্টারটেইনমেন্ট ব্যানারে হতে চলেছে এই ছবির শুটিং।

You may also like

Leave a Reply!