সবে শেষ হয়েছে বাঙালীর প্রিয় উৎসব দুর্গোৎসব। সেই ২০২০ সাল থেকে করোনার অজানা আতঙ্কে গৃহবন্দী জীবন। স্বাভাবিক জীবন থেকে মানুষ শত হস্ত দূরে। তাই এ বার পুজোতে মানুষ মুক্তির স্বাদ চাইছিল। কিন্তু সেটাও কোভিড বিধি মেনেই করার কথা।
কোভিড বিধি মেনে ঠাকুর দেখা কতটা সঠিকভাবে হয়েছে তা নিয়ে চিন্তার ভাঁজ পড়ছে এবার। ঠাকুর দেখতে বেরিয়ে মুখে মাস্কের আবরণ থাকলেও, ঠাকুর দেখার লাইন ছিল দীর্ঘ। সেখানে সামাজিক দূরত্ববিধি মানারও কোনও চিহ্ণ ছিল না।
ফলস্বরূপ রবিবার রাজ্যের করোনা সংক্রমণও অনেক বেশি ছিল অন্যান্য দিনের তুলনায়। পুজো শেষে এখন কী হবে পরিস্থিতি বা রাজ্যের করোনা সংক্রমণের গ্রাফ কি উর্ধমুখী হবে নাকি নিম্নগামী হবে এসব দ্বিধা থাকছেই। ইতিমধ্যেই পুজোর সময়েও এবং পুজো শেষেও সতর্ক করা হয়েছে কলকাতা পুরসভার পক্ষ থেকে।
আরো পড়ুন
ছাড়পত্র মিলল ১৮ এর নীচের ভ্যাকসিনের
পুজোর জন্য ২৫ অক্টোবর পর্যন্ত পুরসভার ছুটি থাকলেও, স্বাস্থ্য বিভাগের ছুটি বাতিল হয়েছে। মঙ্গলবার থেকেই কাজ শুরু করবে বিভাগ। করোনা পরীক্ষার পাশাপাশি ফের গুরুত্ব দিয়ে শুরু হবে আবার টিকাকরণের কাজ। পুজোর ক’দিন কলকাতায় টিকাকরণের কাজ বন্ধ ছিল।
স্বাস্থ্য দফতরের পরিসংখ্যান অনুযায়ী, গত বৃহস্পতি, শুক্র এবং শনিবারের তুলনায় রবিবার রাজ্যে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা বেড়েছে। ১৭ অক্টোবর পর্যন্ত রাজ্যে মোট করোনা আক্রান্ত ১৫ লক্ষ ৮০ হাজার ৫৩০।
এই পরিস্থিতিতে রবিবার থেকেই আবার চালু হচ্ছে করোনার টীকাকরণ। মঙ্গলবার থেকেই আরটি-পিসিআর ও র্যাপিড অ্যান্টিজেন টেস্ট চালু হবে কলকাতা পুরসভার সমস্ত স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও মোবাইল পরীক্ষাকেন্দ্রগুলিতে। পুরসভা থেকে জানানো হচ্ছে বার বার সামান্য উপসর্গ থাকলেই, সতর্ক হতে হবে সবাইকে।