পশ্চিমবঙ্গের দুই জেলাতে করোনার ডেল্টা-প্লাস ভ্যারিয়ান্ট খুঁজে পাওয়া গেছে। আক্রান্ত হয়েছে দু’জন, একজন হাওড়া আরেকজন হুগলির বাসিন্দা। সূত্রের খবর, এই দু’জনের নমুনায় করোনার ডেল্টা-প্লাস প্রজাতির খোঁজ পাওয়া গেছে৷
কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রক এর দেওয়া রিপোর্ট অনুযায়ী, ভারতের ১১টি রাজ্যে কোভিডের ডেল্টা-প্লাস খুঁজে পাওয়া গেছে। গত মাসেই জানা গেছিল, ডেল্টা-প্লাসের একটি উপপ্রজাতি বা সাব-লিনিয়েজ AY.3 খুঁজে পাওয়া গেছে বাংলায়। তবে কোথায় কতজনের শরীরে এসব তথ্য পাওয়া যায়নি তখন৷ এতদিন পরে ফের জানা গেল, ডেল্টা-প্লাস ছড়িয়েছে দুই জেলায়।
আক্রান্তদের থেকে আর কতজনের শরীরে সংক্রমণ ছড়িয়েছে সেটাই এখন ভাবনার বিষয়। সামনেই দুর্গাপুজো। কোভিডের তৃতীয় ঢেউয়ের আশঙ্কাও রয়েছে। তার মধ্যে ডেল্টা প্রজাতির ভ্যারিয়ান্টরা রাজ্যে বাড়তে থাকলে চিন্তার কারণ৷
ডেল্টা ভ্যারিয়ান্ট হল ভারতীয় প্রজাতি। বলা যায়, ডবল ভ্যারিয়ান্টের উপ প্রজাতি। সার্স-কভ-২ হল আরএনএ (রাইবোনিউক্লিক অ্যাসিড) ভাইরাস। এর শরীর যে প্রোটিন দিয়ে তৈরি তা প্রতিনিয়ত বদলাচ্ছে৷ এই প্রোটিন আবার অ্যামাইনো অ্যাসিড দিয়ে তৈরি। ভাইরাস এই অ্যামাইনো অ্যাসিডগুলোর কোড ইচ্ছামতো বদলে দিচ্ছে। কখনও একেবারে ডিলিট করে দিচ্ছে। ঘন ঘন এই রূপ পরিবর্তন এর জন্য নতুন নতুন প্রজাতির সৃষ্টি হচ্ছে৷
ডেল্টা প্লাস ((AY.1)) হল এই ডেল্টা ভ্যারিয়ান্টেরই আরও একটি শাখা। ডেল্টা প্লাসে K417N মিউটেশন হচ্ছে, অর্থাত্ k অ্যামাইনো অ্যাসিড তার ৪১৭ নম্বর জায়গায় বদলে গিয়ে N অ্যামাইনো অ্যাসিডে পরিবর্তিত হচ্ছে। এমন বদল হয়েছে ১২ বার। এই প্রজাতিও সুপার-স্প্রেডার হয়ে উঠেছে।
আলফা প্রজাতি অতটা ছোঁয়াচে না হলেও ডেল্টা প্রজাতি ৬০ গুণ বেশি সংক্রামক। এই ডেল্টা প্রজাতিই এখন ফের বদলে গিয়ে ডেল্টা প্লাস তৈরি করেছে। তবে গবেষকরা জানিয়েছেন, কোভিড ভ্যাকসিনে ডেল্টা প্লাসকে কাবু করা সম্ভব।