পরিবেশ বিজ্ঞানে বিশ্ব উষ্ণয়নএকটি গুরুত্বপূর্ণ বিষয়। এর কারণ স্বরূপ গবেষক মহল দায়ী করেছেন মানুষকেই। যান্ত্রিক পরিবেশে মানুষ অনেক এখন স্বচ্ছন্দ বোধ করছেন বেশি। তাই নিজের সামর্থ্যের বাইরে গিয়েও যন্ত্র সভত্যাকে আলিঙ্গন করছেন সাধারণ মানুষ। অত্যধিক গরম! বাড়িতে আনছেন এয়ার কন্ডিশনার, ঠান্ডা জল খাবেন, তাই আসছে রেফ্রিজারেটর। দূরপাল্লায় পাড়ি দেবেন, কিনছেন গাড়িও। নিজেদের স্বাচ্ছন্দের কথা ভাবতে গিয়ে এটা একবারও ভেবে দেখছেন না দূষণ বাড়ছে কতোটা। যার ফল স্বরূপ ধেয়ে আসছে দাবানল, প্রাকৃতিক ঝাঞ্ঝা, মহামারী, ভূমিকম্পের মতো একাধিক প্রাকৃতিক বিপর্যয়৷
আমরা গত এক- দুই বছরের পরিসংখ্যানেই যদি দেখি তাহলে দেখব আয়লা, ফনী, বুলবুল, আম্ফান, ইয়াসের মতো একাধিক প্রাকৃতিক ঝঞ্ঝা বয়ে গেছে উপকূলবর্তী এলাকা গুলিতে। এর মূল কারণ, ভারত মহাসাগরীয় উষ্ণতা বৃদ্ধি। ক্রমাগত বেড়েই যাচ্ছে এই উষ্ণতা, ফলে আবহাওয়াবিদদের চোখে মুখে শঙ্কার ছায়া। তারা আশঙ্কা করছেন আয়লা- ফনী-আম্ফান- ইয়াসের থেকেও বড় কোন বিপর্যয় আসতে চলেছে ভারতীয় উপকূলবর্তী এলাকা গুলিতে।
তথ্যসূত্রে খবর, ইতিমধ্যেই আমেরিকার হিমাবাহ গুলির মধ্যেও গলন শুরু হয়েছে প্রবল মাত্রায়। জলস্তর বাড়ছে দ্রুত , আর এর ফল স্বরূপ কলকাতা মুম্বাইয়ের মতো বহু শহর যাবে জলের তলায়। আরও একটি উদ্বেগের বিষয়ে দৃকপাত করিয়েছেন আবহাওয়াবিদরা, তাদের মতে সমুদ্রে অক্সিজেনর মাত্রা কমছে, ফলে সমুদ্রে থাকা বিভিন্ন প্রানী যেমন মারা যাবে তেমনি ক্ষতিগ্রস্থ হবে জীব মন্ডল ও বাস্তুতন্ত্র। ইতিমধ্যেই অ্যামাজনের জঙ্গলে দাবানলে পুড়ছে বহু গাছ, ফলে বাযুমন্ডল ব্যপক মাত্রায় ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে, পরিবেশ কমেছে অক্সিজেনের যোগান। অতিরিক্ত গাছ কটার ফলে সুন্দর বনেরও জঙ্গল কমছে। শোনা যাচ্ছে অ্যামাজনের দাবানলের পর থেকে তাপপ্রবাহ বেড়েছে কানাডায়, বিধ্বংসী বন্যার কবলে পড়েছে ইউরোপ। যান্ত্রিক সভ্যতার ফলে হারিয়ে যাচ্ছে প্রকৃতির সুজলা রূপ।