করোনা সংক্রমণের ভয়ে রাতের ঘুম উড়েছে গেরুয়া শিবিরের সৈনিকদের। এ যেন এক অদৃশ্য শত্রু যার সঙ্গে প্রতিনিয়ত লড়তে হচ্ছে রাজ্যবাসীকে। কখন কোথায় কাকে আক্রমণ করছে এই ভাইরাস তা কেউই বলতে পারছে না, এই পরিস্থিতিতে উৎকণ্ঠায় দিন কাটাচ্ছে কলকাতার সেন্ট্রাল এভিনিউয়ের বিজেপি রাজ্য দপ্তর, কারণ কয়েক পা দূরেই থাবা বসিয়েছে মারণ ভাইরাস। মুরলিধর সেন লেনেই বিজেপির রাজ্য দপ্তর। নিয়ম করে প্রতিদিনই বহু নেতা নেত্রী যাতায়াত করেন। কিন্তু সেখানেই বিপদের আশঙ্কা।
আরও পড়ুন মধ্যপ্রদেশে “কিল করোনার” ক্যাম্পেনঃ দরজায় দরজায় ঘুরে করোনা পরীক্ষা করা হবে জুলাই থেকেই
সূত্রের খবর, বিজেপির রাজ্য দপ্তরের উলটো দিকের গলি দিয়ে ঢুকে সোজা বাড়িটিতেই নাকি হানা দিয়েছে করোনা ভাইরাস। জানা গিয়েছে, ওই বাড়িটির তিনতলাতেই ২০১৬ সালে ছিল বিজেপির কল সেন্টার। ইতিমধ্যেই স্বাস্থ্যদপ্তরের কাছেও করোনা হানার খবর পৌঁছে গিয়েছে। ওই বাড়ির মোট সাতজন সদস্যকে পরীক্ষা নিরীক্ষার জন্য নিয়ে যাওয়া হয়েছিল। তবে তাঁদের একজনেরই নমুনা পরীক্ষায় মিলেছে করোনার প্রমাণ। বাকিরা রয়েছেন কোয়ারেন্টাইনে। তাই সংক্রমণের আশঙ্কায় বাড়িটি আপাতত সিল করে দিয়েছে পুলিশ। করোনা সংক্রমণের ভয় রোজ কার্যালয় আসা নিয়ে আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন মুকুল রায়। তিনি নিরাপদে দলের কাজের জন্য অন্যত্র কার্যালয় খোলার পরিকল্পনা করছেন, তবে করোনাকে হাতিয়ার করে দলের প্রতি অভিমান প্রকাশ করেছেন বিজেপি নেতা, মত রাজনৈতিক মহলের। অন্যদিকে করোনা সংক্রমণের ভয়ে প্রহর গুনছে গেরুয়া শিবির। এই পরিস্থিতিতে আদৌ দলীয় কার্যালয় যাওয়া উচিত হবে কিনা তা বুঝে উঠতে পারছেন না কেউই।