CBSE মাধ্যমিকে টপার বনিশা পাঠক, নম্বর পেয়েছে 99.8% তবুও তার চোখে জল। নিজের সাফল্যের কথা বলতে বলতে বারংবারই তার গলা ধরে আসছে। এই জল তার আনন্দের নয়, দুঃখের, কারণ কোভিডের দ্বিতীয় ঢেউ কেড়ে নিয়েছে তার বাবা- মা দুজনকেই। যারা তার এই সাফল্যের কান্ডারী, তারাই এই আনন্দের দিনে তার পাশে নেই।
মধ্যপ্রদেশের ভোপালের বাসিন্দা জিতেন্দ কুমার পাটক ও সীমা পাঠকের কন্যা বনিশা। জিতেন্দ্র বাবু ছিলেন একজন ফিনান্সিয়াল অ্যাডভাইজর আর মা সীমা দেবী সরকারি স্কুলের শিক্ষিকা৷ গত এপ্রিলের শেষের দিকে কোভিড আক্রান্ত হয়ে হসপিটালে ভর্তি হন দুজনেই, তখনই বনিশার সাথে শেষ দেখা তার মা বাবার। বনিশার কথায় জানা যায় হসপিটালে ভর্তির পরে আর মাত্র দুই- তিনবার তার বাবা- মায়ের সাথে কথা হয়েছিলো। 4 ই মে বনিশা তার মা’কে হারায় আর এর দিন-দশের মধ্যেই মারা যান জিতেন্দ্র বাবুও।
সোশাল মিডিয়ায় শিল্পীরা একজোট, রূপঙ্করের উদ্যোগে Hope21
এদিন সংবাদ মাধ্যমের কাছে দেওয়া সাক্ষাৎকারে বনিশার স্মৃতিচারণায় উঠে আসে মায়ের দেওয়া আশ্বাস, ফিরে আসবেন তিনি খুব তাড়াতাড়ি, ততক্ষণ যেনো সে তার নিজের ও ভাইয়ের খেয়াল রাখে। আর বাবার কথায় ছিলো নিজের উপরে ভরসা রাখার পরামর্শ। ফিরে আসেননি আর তারা। তাই এই কথা গুলিকেই পাথেও করে বাকিটা জীবন চলতে চায় বনিশা। বাবা মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে প্রস্তুতি নিতে চায়। IIT তে অংশ নিতে চায়, মায়ের স্বপ্ন পূরণ করতে আইএএস অফিসার হতে চায় সে।
বনিশা ইংরেজি, সংস্কৃত, বিজ্ঞান ও সমাজ বিজ্ঞান প্রতিটি শাখাতেই পেয়েছে 100 নম্বর করে। আর গণিতে পেয়েছে 97। এতো কিছুর মাঝেও তার মন ভারাক্রান্ত, কিন্তু সে আর কাঁদেনা। তাকে এবার হতে হবে তার ভাইয়ের কান্ডারী। দুঃখকে ভুলতে কলম তুলে নিয়েছে হাতে, অশ্রুবিন্দু সম মুক্তাক্ষর গুলি কবিতা হয়ে ঝড়ে পড়ে তার খাতায়।