কর্ণাটক, ১১ অগাস্ট,২০২০ঃ সোমবার কর্ণাটকে একটি অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন প্রাক্তন কেন্দ্রীয়মন্ত্রী ও বিজেপির সাংসদ অনন্তকুমার হেগড়ে। সেই অনুষ্ঠানে একটি বক্তৃতায় তিনি বলেন কেন্দ্রীয় সরকার বি এস এন এল কর্মীদের সব সুযোগ সুবিধা দেওয়া সত্ত্বেও সেই কর্মীরা দেশের সঙ্গে বিস্বাসঘাতকতা করছে।সেই কর্মীরা দেশদ্রোহী এবং ওই ৮৮ হাজার কর্মীকে ছাড়িয়ে বি এস এন এল কে তুলে দেওয়া হবে বেসরকারী হাতে। এই বিতর্কিত মন্তব্যে নড়ে চড়ে বসেছেন অনেকেই। এর আগেও অনন্তকুমার এইরকম নানান বিতর্কিত মন্তব্য করে এসেছেন। অনেকেই ভাবছেন যে কেন্দ্রের পরের নীতিই সামনে তুলে এনেছেন অনন্তকুমার।
আরও পড়ুন জ্বরে আক্রান্ত ব্যাক্তিকে হাসপাতালে নিয়ে গেল তৃণমূল নেতা
কেন্দ্রে স্বিতীয়বার ক্ষমতায় আসার পরেই বিলগ্নিকরণের পথে পা বাড়িয়েছিল মোদী সরকার। বিভিন্ন সরকারি সংস্থা বেসরকারীকরণের পথে বেশ কিছু দিন আগে থেকেই হাঁটছিল বিজেপি। বি এস এন এল ও সেই তালিকায় ছিল। বি এস এন এল এর স্বেচ্ছা অবসর প্রকল্পের শুরু হয়েছিল ৪ই নভেম্বর। সেই প্রকল্প ঘোষণার ৪৮ ঘন্টার মধ্যেই এসেছিল ২২ হাজার আবেদন। ৩ই ডিসেম্বর ছিল শেষদিন। সব মিলিয়ে ৭৮৫৬৯ জন কর্মী সেখানে আবেদন জানিয়েছিলেন স্বেচ্ছাবসরের। সেই কর্মীদেরই দেশদ্রোহী বলেছেন অনন্তকুমার হেগড়ে। এর আগে হেগড়ের যে কথাগুলো বিতর্ক তৈরি করেছিল সেগুলো ছিল ‘ যে হাত কোন হিন্দু মেয়েকে স্পর্শ করে,তাকে রাখার দরকার নেই।’
আরও পড়ুন টিকটকের বিরুদ্ধে তদন্ত শুরু ফ্রান্সের
২০১৭ তেও বলেছিলেন সংবিধান থেকে ধর্মনিরপেক্ষ শব্দটি মুছে দিতেই কেন্দ্রে এসেছে বিজেপি সরকার।’ সুতরাং বিতর্কিত মন্তব্যে তার জুড়ি মেলা ভার। এবারের মন্তব্যটিও তাই শুধুমাত্র বিতর্ক সৃষ্টির জন্যই না এর পিছনে আছে ভবিষ্যতের সত্য তা জানতে গেলে অপেক্ষা করতে হবে আরো কিছুদিন…