Home Onno Pujo 2020দীপাবলির রং আড়ম্বরের বাজেট দিয়ে আর্তের ত্রাণ, বারাসতের কালীপুজো এবার সমাজমুখী

আড়ম্বরের বাজেট দিয়ে আর্তের ত্রাণ, বারাসতের কালীপুজো এবার সমাজমুখী

by banganews

ভিড় এবং বাহুল্য থেকে এবছর নিজেদের দূরে রাখার সিদ্ধান্ত নিল বারাসতের সবকটি গুরুত্বপূর্ণ কালীপুজো কমিটি। কলকাতার উপকণ্ঠে এই বারাসতই কালীপুজোর জন্য বিখ্যাত। জৌলুস আর জনপ্রিয়তায় বহুদিনই সাড়ম্বরে উদযাপিত হয় এই মহানিশা। দর্শনার্থীর ভিড়ে আর তিলধারণের জায়গা থাকে না বারাসতের কালীপুজোয়।
তবে এবছরটা একেবারে ব্যতিক্রমী। করোনা সংক্রান্ত বিধিনিষেধের ফলে পুজোর বহু রীতিনীতিতে লাগাম।
অবশ্য সরকারি এবং আইনি বিধিনিষেধ জারি হওয়ার আগেই বারাসতের সব বড় পুজো কমিটি একসঙ্গে বসে নিজেদের মতো করে বেশ কিছু সিদ্ধান্ত নিয়েছে। সে সব সিদ্ধান্তের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হল, পুজো হবে দর্শকশূন্য এবং আড়ম্বরের নামমাত্রও থাকবে না।

বড় মা‘র থেকে দূরে থাকবে মানুষ? চিন্তায় আকুল নৈহাটি

বারাসতের বড় পুজো কমিটিগুলির মধ্যে অন্যতম শতদল সঙ্ঘ, নবপল্লী আমরা সবাই, সন্ধানী, বিদ্রোহী ক্লাব বা পাইওনিয়ার ক্লাব সহ বারাসতের প্রতিটি বড় ক্লাব তাদের পুজোর বাজেটে রীতিমতো কাটছাঁট করেছে। মণ্ডপসজ্জা, প্রতিমার উচ্চতা এবং আলো, এই তিনটি দিকই এবছর অতি নিয়ন্ত্রিত। সাধারণ মানের প্যান্ডেল, ছোট প্রতিমা আর শুধু প্যান্ডেলটি আলোকিত করার সিদ্ধান্ত নিয়েছে বারাসত। দর্শকশূন্য পুজো করার চ্যালেঞ্জও নিয়েছেন উদ্যোক্তারা।
কালীপুজোর বাজেটের বাকি অংশ সমাজের দুঃস্থ দরিদ্র পরিবারের উন্নতিকল্পে খরচের সিদ্ধান্তও নিয়েছেন তাঁরা। খরচ হবে সচেতনতা বৃদ্ধির খাতেও। উত্তর চব্বিশ পরগণার সর্বাধিক সংক্রমিত শহর বারাসতের এই সমাজমুখী উদ্যোগের পাশে এসে দাঁড়িয়েছে স্থানীয় প্রশাসনও।

You may also like

Leave a Reply!