স্কুলে স্কুলে মাধ্যমিক পরীক্ষার রেজাল্ট বিতরণ ও একাদশ শ্রেণিতে ভর্তির পক্রিয়া চালু করতে আজ মধ্যশিক্ষা পর্ষদের নির্দেশিকা জারি করল। শুক্রবারে মার্কশিট বিতরণ এবং এগারো ক্লাসে অ্যাডমিশনের জন্য সময় টিচার ও ননটিচিং স্টাফদের ৫০% উপস্থিতি যে বাধ্যতামূলক করা হয়েছে তা নিয়ে ক্ষুব্ধ অনেকেই। বর্তমানে রাজ্যব্যাপী যখন গোষ্ঠী সংক্রমণের কথা স্বীকৃত, যখন এই পরিস্থিতিতে জনপরিবহন অস্বাভাবিক, ট্রেন পরিসেবা চালু হয়নি সেই সময়ে নির্দেশিকার জন্য সমস্যায় পড়েছে রাজ্যের শিক্ষক-শিক্ষিকারা। এই আকস্মিক নির্দেশ শিথিল করার দাবি জানিয়েছে একাধিক শিক্ষক সংগঠন। ‘অল পোস্ট গ্র্যাজুয়েট টিচার্স ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশন’ টিচারদের ৫০% হাজিরা কমিয়ে ২৫ % করা ও বিদ্যালয়ের প্রয়োজন অনুসারে নূন্যতম সংখ্যক টিচারদের উপস্থিতির মাধ্যমে রেজাল্ট বিতরণ ও ভর্তির কাজ সম্পন্ন করার দাবি জানায়।
আরও পড়ুন ঘরের মানুষের থেকেই করোনা ছড়ায় বেশি
সংগঠনের সম্পাদক চন্দন গরাই জানিয়েছেন মার্কশিট বিতরণ থেকে একাদশ শ্রেণিতে অ্যাডমিশনের টিচারদের উপস্থিতি বাঞ্ছনীয় কিন্তু বর্তমান পরিস্থিতির কথা বিবেচনা করলে বোঝা যাবে হঠাৎ জারি হওয়া নির্দেশে বহু টিচার সমস্যায় পড়েছে কারণ আজই নোটিশ হওয়ায় দূর দূরান্তের বহু টিচাররা আগামীকাল উপস্থিত থাকতে পারবে না। ২৩ শে জুলাই অবধি গোটা রাজ্যে লকডাউন। এই সব গুরুত্বপূর্ণ বিষয়ে শিক্ষামন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়, পর্ষদ সভাপতি সহ শিক্ষা আধিকারিকদের পুর্নবিবেচনার আবেদন জানানো হয়েছে। বিষয়টিকে বাস্তবিকভাবে বিবেচনা করে সেইমত প্রায়োগিক সিদ্ধান্ত নিতে আর্জি জানায় সংগঠনগুলি।