এই রাজ্যে গোষ্ঠী সংক্রমণের সূচনা হওয়ার পর থেকেই সপ্তাহে দু’দিন করে লকডাউন জারির সিদ্ধান্ত নেয় প্রশাসন। এই লকডাউনে জনসচেতনতা বাড়বে এর পাশাপাশি সংক্রমণ নিয়ন্ত্রণে রেখে চাঙ্গা করা যাবে অর্থনীতিকেও। এসপ্তাহের জন্য নির্ধারিত হয়েছিল বৃহস্পতিবার ও শনিবার। গতদিনের সাফল্যের পরে আজকে,শনিবার দ্বিতীয় দিনের লকডাউনও চলছে রাজ্য জুড়ে। পশ্চিমবঙ্গে করোনা সংক্রমণ গ্রাফের উর্ধ্বগতি রুখতে সপ্তাহে দু’দিন তাই সর্বত্র স্থগিতাদেশ। গত সোমবার প্রশাসনিক ভবন নবান্ন থেকে স্বরাষ্ট্রসচিব আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায় সকলকে সতর্ক করে দিয়ে জানান রাজ্যের মধ্যে বেশকিছু জায়গায় ইতিমধ্যেই গোষ্ঠী সংক্রমণ সূচিত হয়েছে। পরিস্থিতি প্রায় নিয়ন্ত্রণের বাইরে শহর কলকাতার ক্ষেত্রে।
আরও পড়ুন বাইপাসে পুলিশকে ধাক্কা মেরে গাড়ি নিয়ে পালানোর চেষ্টা
এই সংক্রমণকে বাগে আনতে আগামী ৩১ অগাস্ট পর্যন্ত প্রতিসপ্তাহে নির্ধারিত দুটি দিন সম্পূর্ণ লকডাউন বলবৎ থাকবে রাজ্যে। আজ, শনিবারও দেখা গেল সফল লকডাউনের চিত্র। সমস্ত দোকানপাট বন্ধ, রাস্তাঘাট জনমানবশূন্য, রাস্তায় চালু নেই কোনও গণপরিবহন। লকডাউনে ছাড় পেয়েছে একমাত্র ওষুধের দোকান ও হাসপাতালগুলো। শনিবার ২৫ শে জুলাইয়ের পরে আগামী বুধবার অর্থাৎ ২৯ জুলাইও থাকবে লকডাউন । এদিন কলকাতা বিমানবন্দরেও বিমান চলাচল সম্পূর্ণ বন্ধ। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গার লকডাউনে নজরদারি করতে চলছে পুলিশ টহলদারি। রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় লাগানো হয়েছে ব্যারিকেড, নাকা চেকিং। সরকারি ও বেসরকারি সংস্থাগুলোও বন্ধ রাখার জন্য নির্দেশ দিয়েছে সরকার, চলছে না সরকারি পরিবহনও। বন্ধ হয়েছে সমস্ত বাণিজ্যিক প্রতিষ্ঠান ও বাজার।
আরও পড়ুন নভেম্বরের আগে স্বাভাবিক হবে না ঘরোয়া উড়ান পরিষেবা
গত বৃহস্পতিবার লকডাউনের বিধিনিষেধ ভঙ্গ করার অপরাধে ৩,৮০০ জনেরও বেশি মানুষকে গ্রেফতার করেছিল প্রশাসন। পশ্চিমবঙ্গে ৫৩,৯৭৩ জন ইতিমধ্যে কোভিড-১৯ এ আক্রান্ত হয়েছে, মৃত্যু হয়েছে ১,২৯০ জনের। এখনও পাওয়া খবর অনুযায়ী রাজ্যের সর্বত্র সুষ্ঠুভাবে পালিত হচ্ছে লকডাউন।