Home কলকাতা বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত চা বিক্রির অভিযোগ শ্যামবাজারে

বিষাক্ত রাসায়নিক মিশ্রিত চা বিক্রির অভিযোগ শ্যামবাজারে

by banganews
শ্যামবাজার পাঁচ মাথা মোড়ের কাছে জমজমাট চায়ের দোকান থেকে বিক্রি করা চায়ে মেশানো হচ্ছিল ক্ষতিকারক রাসায়নিক পদার্থ। কেন্দ্রীয় ল্যাবে যে নমুনা পাঠানো হয়েছিল তার রিপোর্ট হাতে এসে পৌঁছাতেই চোখ কপালে উঠেছে বহু মানুষের। চায়ের দোকান থেকে কিনে দিনের পর দিন যে চা তারা খেয়েছে তাতে রীতিমত বিষাক্ত-ক্ষতিকারক রাসায়নিক মেশানো হচ্ছিল। অভিযোগ দায়ের হওয়ার পর থেকে দোকানটি বন্ধ রাখার দাবি করে অনেকেই কিন্তু তাতে লাভ মেলেনি। সত্যি সামনে এলেও গ্রেফতার করা হয়নি সেই অসাধু ব্যবসায়ীকে। এখনো পর্যন্ত জনসমক্ষে বুক ফুলিয়ে ঘুরছেন তিনি, এমনকি বহাল তবিয়তে চলছে দোকানদারিও। সমগ্র ঘটনাটি ধামাচাপা দেওয়ার প্রচেষ্টা হয়েছে, দায় এড়িয়ে যাচ্ছে পুলিশ।
অভিযোগের ভিত্তিতে নমুনা ল্যাবে পাঠানো হলে যে রিপোর্ট আসে তাতে স্পষ্টতই উল্লেখ রয়েছে বিষাক্ত রাসায়নিক মেশানোর কথা, তা সত্ত্বেও কেন নির্বিকার পুলিশ মেলেনি তার উত্তর। এখনো পর্যন্ত শ্যামবাজার পাঁচ মাথার মোড়ে রমরমিয়ে চলছে ব্যবসা।
দোকানের নাম প্রতীক টিস্টল, বহুদিনের পুরনো চায়ে রাসায়নিক রং, লৌহ চূর্ণ মিশিয়ে তা বিক্রি করছিল এই দোকানদার। শুধু অভিযোগ নয় প্রমাণ রয়েছে পুলিশের হাতে, খাদ্য নিয়ন্ত্রক সংস্থা ফ্যাসাইয়ের রিপোর্ট অনুযায়ী সেই চা ব্যবহারের অযোগ্য। দোকান মালিক উত্তম কুমার শা’র বিরুদ্ধে টালা থানায় খাদ্যে ভেজাল দেওয়ার অভিযোগে গত ৩০ শে জুন জামিন অযোগ্য ধারায় মামলা করা হয়। পশ্চিমবঙ্গে ২৭২ ধারার আমেন্ডমেন্টের পর এ ধরনের অভিযোগে যাবজ্জীবন কারাদণ্ডের শাস্তি পর্যন্ত হতে পারে।
তা সত্বেও পুলিশি নিষ্ক্রিয়তায় দোকান বন্ধ বা জিজ্ঞাসাবাদের ব্যবস্থা করা হয়নি কেন তা অজানা। বিশেষজ্ঞদের মতে রোটামিন- বি এর মত রঞ্জক কারসিনোজেনিক এছাড়াও লৌহ চূর্ণ কিডনি এবং লিভারের জন্য বিশেষ ক্ষতিকারক। পরবর্তী সময়ে এই ক্ষতিকারক চা খেয়ে কোন সাধারণ নাগরিক অসুস্থ হয়ে পড়লে তার দায় নেবে কে সেই প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে।

You may also like

Leave a Reply!