Home বিদেশ ৩০ হাজার মানুষের পারাপারের মাধ্যম ছোট্ট একটি নৌকা

৩০ হাজার মানুষের পারাপারের মাধ্যম ছোট্ট একটি নৌকা

by banganews

বাংলাদেশের সীমান্তবর্তী জেলা চাঁপাইনবাবগঞ্জ। জেলাটির বিভিন্ন জায়গা দিতে বয়ে চলেছে পাগলা নদী। জেলার বিভিন্ন অংশে বেশ কিছু উন্নয়নের চিহ্ন দৃষ্টিগোচর হলেও শিবগঞ্জ উপজেলার অন্তর্গত প্রায় ৭০ টি গ্রাম এখনও উন্নয়নের ধরা ছোঁয়ার বাইরে। গ্রামের মানুষদের প্রশাসনিক কাজকর্ম বা ডাক্তারি পরিষেবা পেতে গেলে পাগলা নদী পার হয়ে যেতে হয় শহরে। কিন্তু এখন সেই রাস্তাও বন্ধ। কারণ যাতায়াতের একমাত্র ভরসা ছিল একটি বাঁশের পুল, সেটিও বর্ষায় জলের তোড়ে ভেঙে পড়েছে গত ২০ দিন হল। এখন যাতায়াতের মাধ্যম হয়ে দাঁড়িয়েছে একটি নৌকা। এই নৌকাটির উপর ভরসা করেই পারাপার হচ্ছেন ৭০ টি গ্রামের প্রায় ৩০ হাজার মানুষ।

পাগলা নদীটি সরজামিনে উমরপুর- কয়ালাদিয়াড় গ্রামের কাছ দিয়ে বয়ে চলেছে। সেখানেই নৌপরিবহনের ঘাটটি অবস্থিত।
উমরপুরের এক বাসিন্দা আব্দুর রহমান জানান, উমরপুরের এই ঘাট ব্যবহার করে প্রতিদিন অসংখ্য মানুষ যাতায়াত করেন। তাদের পারাপারের জন্য একটি মাত্র বাঁশের পুল ছিল। সেটিও ভারী বৃষ্টির ফলে ভেঙে পড়েছে। এখন মানুষের যাতায়াতের ভরসা একটি মাত্র নৌকা। শুধু মানুষই কেন? সাইকেল, মোটরসাইকেল ও নিয়ে ওঠেন এই নৌকাতেই। তাই অনেক সময়ই তাদের নদীর পাড়ে এসে অপেক্ষা করতে হয়।

নৌকার যাত্রী আরমনী বেগম বলেন, তাঁর বাড়ি শাহবাজপুর, আর মেয়ের বিয়ে হয়েছে শ্যামপুরে। মেয়ের বাড়ি যেতে গেলে নদী পেরিয়ে তবেই যাওয়া যায়। কিন্তু বাঁশের পুলটি ভেঙে যাওয়ার নৌকায় জন্য অপেক্ষায় থাকতে হচ্ছে। এতে অনেক সময়ই ঠিক টাইমে পৌঁছাতে পারছেন না তিনি।

হাসান আলি নামের এক স্থানীয় ব্যক্তির দাবী- কাউকে হাসপাতালে যেতে হলে নদী পার হতে হয়, নৌকায় জন্য যেমন হসপিটালে পৌঁছাতে দেরি হয় তেমনি রাত বিরেত কেউ অসুস্থ হয়ে পড়লে তাকে নিয়ে হসপিটাল যাওয়ায় পথে অনেক সময়ই সমস্যার সম্মুখীন হতে হচ্ছে যাত্রীদের , আবার বেশি রাত হলে নৌকাও মেলে না, তাই যত তাড়াতাড়ি সম্ভব প্রসাশনের কাছে সেতু নির্মাণের আর্জি জানান তিনি৷

শ্যামপুর ইউনিয়নের সভাপতি, খাইরুল ইসলাম জানান, প্রশাসনের কাছে একাধিকবার অসুবিধার কথা জানিয়ে চিঠি করলেও সমস্যার সমাধানের কোনও ব্যবস্থা নেননি তাঁরা।
তবে শিবগঞ্জ উপজেলার প্রকৌশলী হারুন-অর -রসিদ জানান, ইতিমধ্যেই নদীর দুই পারের মাটি নিয়ে পরীক্ষা করা হয়েছে, পরীক্ষার ফলাফল এলেই ব্রিজ নির্মাণ শুরু করে দেবেন তাঁরা।

You may also like

Leave a Reply!