Home বিনোদন এনটি-ওয়ানে মহানায়কের মেকআপ রুমে জন্মদিনেও বিষণ্ণতা

এনটি-ওয়ানে মহানায়কের মেকআপ রুমে জন্মদিনেও বিষণ্ণতা

by banganews

কলকাতা, ৩ সেপ্টেম্বর, ২০২০: এনটিও ওয়ান স্টুডিওতে মহানায়ক উত্তমকুমারের মেকআপ রুম। আজও সেই একইরকম। মন্দিরের মতো শ্রদ্ধা আর যত্নে সংরক্ষিত। প্রতি জন্মদিনে সেজে ওঠে শুভ্রতার সাজে আর অগণিত মানুষের মনখারাপের স্মৃতিতে।
১০ বাই ১২ ফুট মাপের সেই ঘর। অ্যাসবেস্টসের ছাদের নীচে দেওয়া হয়েছে ফলস সিলিং। দেওয়ালে দুধ-সাদা প্যারিস। কাঠের জানলা রাঙানো হয়েছে সাদা রঙে। মেঝেতেও সাদা টাইলস। রং করা হয়েছে মহানায়কের ব্যবহৃত সেই খাট, টেবিল, চেয়ার, আয়না, আলনা, ইজি চেয়ার। খাটের সামনে রাখা মহানায়কের খড়ম।

আরও পড়ুন :  মহানায়কের জীবনের শেষ জন্মদিন

এনটি-ওয়ান স্টুডিয়োয় ‘নায়ক’-এর বড় সাধের মেকআপ রুমে। প্রায় ৯০ বছরের পুরোনো স্টুডিয়োয় ঢুকতেই কিছু দূরে বাঁ-হাতে, বাংলা বিনোদনের সেরা অহঙ্কার। উত্তমকুমারের মেকআপ রুম। এই ঘরে বসেই তিনি একের পর এক ছবির জন্য সেজেছেন। ‘সব্যসাচী’, ‘সন্ন্যাসী রাজা’, ‘আলো আমার আলো’, ‘কমললতা’, ‘জতুগৃহ’।
উত্তমকুমারের শেষ ছবি ‘ওগো বধূ সুন্দরী’-র শুটিং হয়েছিল টেকনিশিয়ান স্টুডিয়োয়। কিন্তু তিনি মেকআপ সারতেন তাঁর এনটি-ওয়ানের মেকআপ রুমেই।
সেই ১৯৮০ সালে তাঁর অকালবিদায়ের পর থেকে আজ পর্যন্ত ওঁর মেকআপ রুম একান্ত ওঁরই রয়ে গিয়েছে। একটা সেগুন কাঠের খাট, টেবিল, ইজি চেয়ার।

আরও পড়ুন :  এবার যুদ্ধবিমান নামবে বেলদায়, শুরু প্রাথমিক পর্যায়ের কাজ

২৪ জুলাই ১৯৮০-র পর থেকে নিয়ম করে স্টুডিওর কর্মীরা মহানায়কের ছবিতে ফুল-মালা দেন। জল-মিষ্টি দিয়ে ধূপ দেন। তাঁর জন্মদিনে এ ঘর দেখতে আসেন অনুরাগীরা।
স্টুডিয়ো জুড়ে রয়েছে প্রায় ২৫টি মেকআপ রুম। কিন্তু আর কোনও নায়ক-নায়িকার জন্য কখনও এমন দৃষ্টান্ত গড়ে ওঠেনি এখানে। সুচিত্রা সেনের জন্য কোনও আলাদা মেকআপ রুম নেই? স্টুডিওর তরফ থেকে জানা যাচ্ছে, তেমন কিছু নেই। উনি যখন শুটিং করতেন, তখন ১৫-২০ দিনের জন্য আলাদা রাখা থাকত ওঁর ঘর। কিন্তু সংরক্ষণ কিছু করা নেই, যা রয়েছে উত্তমকুমারের জন্য।

You may also like

Leave a Reply!