রাজ্যে প্রথম ওমিক্রণ আক্রান্তের হদিশ মিলল মুর্শিদাবাদে। সাত বছরের এক শিশু আক্রান্ত করোনার এই নতুন ভেরিয়েন্টে। আবু ধাবি থেকে 10 ডিসেম্বর শিশুটির পরিবারের সঙ্গে ফেরে। ইতিমধ্যেই রাজ্যের ওমিক্রনের হদিশ মেলায় আতঙ্ক ছড়িয়েছে। জানা গিয়েছে 10 ডিসেম্বর মধ্যরাতে হায়দ্রাবাদে বিমান থেকে নেমে ছিলেন শিশুটির পরিবার। সেখানে আরটিপিসিআর পরীক্ষার জন্য শিশুর লালারস সংগ্রহ করা হয়। তখন জানা যায় শিশুটি করোনা আক্রান্ত।
মহিলাদের সুরক্ষায় নয়া উদ্যোগ কলকাতা পুলিশের
আজ জিনোম সিকোয়েন্সিং এর রিপোর্ট জানিয়েছে শিশুটির ওমিক্রনে আক্রান্ত। কিন্তু করোনা আক্রান্ত অবস্থায় হায়দ্রাবাদ থেকে বিমানে কীভাবে এল তা নিয়ে উঠছে প্রশ্ন৷ ১১ ডিসেম্বর কলকাতায় ফিরে শিশুটি বাড়ির গাড়ি করে মালদায় আসে।
রাজ্য স্বাস্থ্য অধিকর্তা অজয় চক্রবর্তী জানিয়েছেন কোন করোনা আক্রান্ত মানুষকে বিমানে উঠতে দেওয়া হচ্ছে না তাহলে কি ভাবে এমন ঘটনা ঘটলো? বিষয়টি লিখিত আকারে কেন্দ্রীয় স্বাস্থ্যমন্ত্রকে জানানো হয়েছে।
শিশুটি এখন মালদহের কালিয়াচকে আত্মীয়ের বাড়িতে আইসোলেশনে রয়েছে। শরীরে রয়েছে মৃদু উপসর্গ। জেলা স্বাস্থ্য অধিকর্তা সন্দীপ সান্যাল শিশুটির চিকিত্সা ও যাবতীয় তথ্য সংগ্রহ করছেন। নজর রাখছে নবান্ন-ও।
এর আগে বিলেত ফেরত এক তরুণী ওমিক্রন আক্রান্ত এমন আতঙ্ক ছড়িয়েছিল। কিন্তু কল্যাণীর জিনোম সিকোয়েন্সিং ল্যাবরেটরি রাজ্যকে নেগেটিভ রিপোর্ট দেয়৷ তবে এবার করোনার নতুন ভ্যারিয়েন্ট রাজ্যে ঢুকে পড়ল। যদিও স্বাস্থ্যকর্তারা জানিয়েছেন, পুনরায় ওই শিশুর লালারস সংগ্রহ করে পাঠানো হবে। শিশুটির অভিভাবকদের আরটি পিসিআর পরীক্ষা করা হবে। ইতিমধ্যে দেশে আক্রান্ত হয়েছেন ৬৯ জন।