ইউরোপে করোনার ক্রমবর্ধমান প্রভাব দেখে
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা আশঙ্কা প্রকাশ করেছে, বর্তমান পরিস্থিতি অব্যাহত থাকলে এই শীতে ইউরোপে মৃতের সংখ্যা দুই মিলিয়ন ছাড়িয়ে যেতে পারে। হু আরও জানিয়েছে, মার্চের মধ্যেই মৃত্যু হতে পারে আরও সাতলক্ষ মানুষের। হু-এর তথ্য অনুসারে, ইউরোপের বেশ কয়েকটি দেশে গত সপ্তাহে করোনাতে মৃতের সংখ্যা দ্বিগুণ বেড়ে দাঁড়িয়েছে। ইউরোপে মহামারী আবার ভয়ঙ্কর রূপ নেওয়ার কারণ হিসাবে বিশেষজ্ঞরা সঠিক সময়ে টীকা না দেওয়া, অত্যন্ত সংক্রামক ডেল্টা ভাইরাস, ঠাণ্ডা আবহাওয়া, সঠিকভাবে সামাজিক দূরত্ব বজায় না রাখার কারণেই দায়ী করেছেন। অস্ট্রিয়াতে ইতিমধ্যেই লকডাউন ঘোষিত হয়েছে। জার্মানি, নেদারল্যান্ডসেও নতুন বিধিনিষেধ আরোপ করা হয়েছে। ডাচ সরকারও আইন করে টীকাবিহীন লোকেদের ইনডোর ভেন্যু যেমন বার, রেস্তোরাঁ এবং যাদুঘরের মতো জায়গায় প্রবেশ নিষিদ্ধ ঘোষণা করার কথা বলেছে। গ্রীস, ফ্রান্স এবং জার্মানি সহ বেশ কয়েকটি দেশে টীকাকরণ সম্পূর্ণ হলেও তৃতীয় শট অর্থাৎ বুস্টার ডোজ দেওয়ার কথা জানিয়েছে।
পঞ্চমবারের জন্য সর্বাধিক পরিচ্ছন্ন শহর ইন্দোর
ইউরোপে করোনার প্রকোপ বাড়তে থাকায় বিমান চলাচলে বিধিনিষেধ জারি করেছে আমেরিকা। আমেরিকার সংক্রামক রোগ নিয়ন্ত্রক সংস্থা (সিডিসি) এবং প্রশাসন জার্মানি, ডেনমার্ক অস্ট্রিয়া, ব্রিটেন, বেলজিয়াম, গ্রিস, নরওয়ে, সুইৎজারল্যান্ড, রোমানিয়া, আয়ারল্যান্ড ও চেক প্রজাতন্ত্র সফরে নিষেধাজ্ঞা জারি হয়েছে।
প্রসঙ্গত, শিশুদের টীকাকরণ শুরু করেছে ইজ়রায়েল। প্রধানমন্ত্রী নাফতালি বেনেট জানিয়েছেন শিশুদের মধ্যেও সংক্রমণ দেখা দেওয়াই টীকাকরণ শুরু হয়েছে। প্রাপ্তবয়স্কদের পাশাপাশি শিশুদের টিকাকরণে ফাইজ়ারের প্রতিষেধকই ব্যবহার করছে ইজ়রায়েল।