গতকাল রাতে আসানসোলের কুলটি এলাকায় আচমকাই যৌন পল্লিতে হানা দিল স্থানীয় পুলিশ। নিষিদ্ধ পল্লি থেকে উদ্ধার করা হল ৩৫ জন নাবালিকাকে। অভিযোগ এসেছিল ‘ওয়েস্টবেঙ্গল কমিশন ফর প্রটেকশন অভ চাইল্ড রাইটস’-এর পক্ষ থেকে। সেই তথ্যকেই খতিয়ে দেখতে তৎপর হন স্থানীয় প্রশাসন।
আসানসোলের নিয়ামতপুর সংলগ্ন এলাকায় যৌনপল্লিতে অনেকজন নাবালিকাকে দিয়ে চলছে যৌনকর্ম, এই গোপন তথ্য উঠে আসে প্রশাসনের কাছে, রাজ্য শিশু ও মহিলা কমিশন মারফত। কমিশনের চেয়ারম্যান অনন্যা চক্রবর্তী চট্টোপাধ্যায়, কমিশনার অজয় ঠাকুর, মহকুমা শাসক অভিজ্ঞান পাঞ্জা ও জেলা শাসক বিভু গোয়েলের একটা টিম পৌঁছায় সেখানে, তারপর শুরু হয় তল্লাসি, উদ্ধার করা হয় ৪৭ জনকে, এর মধ্যে ৩৫ জনই নাবালিকা। এদের দিয়েই সেখানে কেউ বা কারা রমরমিয়ে চালাচ্ছিল দেহ ব্যবসা। এই চক্রের পিছনে কারা আছে তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ।
করোনা আবহে বহু কিশোর কন্ঠি কর্মহীন গুরু চিরসবুজ কিশোর কুমারের জন্মদিনেই
স্থানীয় সূত্রে আরও কিছু খবর পাওয়া যায় কিনা, কি তা খতিয়ে দেখছেন পুলিশ,জারি রয়েছে জিজ্ঞাসাবাদ। এমনকি এদের সঠিক পরিচয়ও খতিয়ে দেখছেন প্রশাসন। সূত্রের খবর, নাবালিকাদের দায়িত্ব বর্তেছে চাইল্ড ওয়েলফেয়ার অ্যাসোসিয়েশনের উপরে এবং নাবালিকারা সেখানকার হোমেই আপাতত থাকছে৷ বিভু গোয়েলের কথায়, এই মধুচক্রের কথা জানতে পেরে তিনি রাত্রেই সেখানে যান এবং তল্লাশি চালান। বিধিনিষেধ না মেনেই অতিরিক্ত সময় পর্যন্ত যৌনপল্লি কেনো খোলা আছে তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন তিনি। এই ঘটনাটির সঙ্গে ভিন রাজ্যের কোন যোগসূত্র আছে কিনা তার সঠিক তদন্তের জন্য বলেন প্রশাসনকে।