হাওড়া জগতবল্লভপুর গ্রামে বিপত্তারিণী পুজোর প্রসাদ খেয়ে অসুস্থ হয়ে পড়ে ১৫০ জন। মায়ের ভোগ ও চরণামৃত খেয়ে রাত থেকেই অসুস্থ হতে শুরু করে বহু গ্রামবাসী। প্রসাদ থেকেই ফুড পয়জনিং হয়েছে বলে প্রাথমিকভাবে অনুমান করা হচ্ছে। প্রসাদ গ্রহণের পর থেকেই তীব্র পেটব্যথা শুরু হয় অনেকের। পরের দিন ডিহাইড্রেশন চরমে পৌঁছায় এবং ইতিমধ্যে ৩০-৩৫ জন শিশুকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। এতে মহিলা শিশু ও বৃদ্ধের আক্রান্ত সংখ্যাই সর্বাধিক। বাকিদেরকে বাড়িতে রেখেই চিকিৎসা করার বন্দোবস্ত হয়েছে।
আরও পড়ুন : বিজেপি রাজ্য দপ্তরের পাশে করোনার হানা
ঘটনার পরই হাওড়া জেলা স্বাস্থ্য দপ্তরের বিশেষ টিম সেখানে পৌঁছেছে, এবং জরুরীকালীন অবস্থায় পরিষেবা প্রদান ও শুশ্রূষার জন্য একটি ক্যাম্প নির্মাণ করা হয়েছে। এরইমধ্যে বিষয়টা অনেকাংশে হাতের বাইরে চলে গিয়েছে কারণ বহু শিশু যারা খাদ্য সংক্রমণে আক্রান্ত তাদের অবস্থা আশঙ্কাজনক এবং প্রয়োজনে তাদেরকে উলুবেড়িয়া হাসপাতালে স্থানান্তরিত করতে হতে পারে।
আরও পড়ুন : এবার বর্ষায় বাঙালির পাতে থাকবে না ইলিশ
মহামারীর সময় যখন দেশ জুড়ে বিভিন্ন রাজ্য অত্যন্ত সতর্কতার সঙ্গে লকডাউন ধীরে ধীরে শিথিল করার সিদ্ধান্ত নিচ্ছে তখন পুজো উপলক্ষে এরকম একটি জনসমাবেশ কীভাবে হয় সে প্রশ্ন থেকে যাচ্ছে। সাধারণ গ্রামবাসীদের সচেতনতার অভাব ঘটনায় স্পষ্ট। আপৎকালীন পরিস্থিতিতে স্থানীয় প্রশাসন বিষয়টিকে নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা করলেও, এ ধরনের অপ্রীতিকর ঘটনা ঘটার পূর্বেই কেন বিধি-নিষেধ আরোপ করা হয়না, মেলেনি তার উত্তর।