Home পাঁচমিশালি জগন্নাথের ‘কোয়ারেন্টাইন’ কার্টুনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ

জগন্নাথের ‘কোয়ারেন্টাইন’ কার্টুনের বিরুদ্ধে আইনি পদক্ষেপ

by banganews
একশো আটটি কলসির জলে স্নান সামলানো সহজ ব্যাপার নয়! কেঁপে জ্বর আসবেই। আর ঠিক তাই হয় প্রতি বছর। জগন্নাথ বলরাম সুভদ্রার প্রবল গা গরম হয়। জ্বরে পুড়ে যায় শরীর। টানা চোদ্দদিন ধরে সেবাযত্ন করে পথ্যি খাইয়ে সুস্থ করতে হয় তাঁদের। স্নানযাত্রার পর তাই মন্দির বন্ধ। তিন ভাইবোনের দর্শন মেলে না। তাঁরা চোদ্দ দিনের ‘কোয়ারেন্টাইন’-এ।
শিল্পীর খেয়াল। এমন দৃশ্যকল্পনা করবেন না, তা কি হয়! এরপরও আরও বহু কিছু ভেবে বসলেন তিনি। একটি বিছানায় মুখে থার্মোমিটার দিয়ে তিন ভাইবোন জ্বরে কাবু।
যা ভাবা, সেই কাজ। এঁকে ফেললেন এমন ছবি। ছবি ঠিক নয়, কার্টুন। একটু সহজ মজা আর কি। অশ্রদ্ধা কোনওভাবেই নয়। জগন্নাথ পরিবারকে নিজেদের ঘরের করে দেখার চেষ্টা। আর তাতেই আগুনে ঘি। এ ছবি যেই ছাপা হল ওড়িশার কাগজে, রে রে করে উঠলেন ‘ভক্তপ্রবর’। তাঁর প্রভুকে নিয়ে এমন ‘অপরাধ’! সোজা নালিশ ঠুকলেন থানায়। সেই কাগজের নামে। শিল্পীকেও নাস্তানাবুদ করতে ভুললেন না।
ঘটনা হল পীযূষ ত্রিপাঠি নামে এক যাত্রা অভিনেতা এফআইআর দায়ের করেছেন একটি জনপ্রিয় ওড়িয়া পত্রিকার বিরূদ্ধে। সেই পত্রিকাতেই ছাপা হয়েছিল এই ছবি। আর তারপরে মুহূর্তে তা ভাইরাল হয়ে যায়। আবার যেখানে সেখানে নয়। এই এফআইআর দায়ের হয়েছে খোদ পুরীমন্দিরের ভেতর পুলিশ চৌকিতেই। পীযূষবাবু শুধু যে এই কার্টুনের বিরুদ্ধে লিখেছেন তাই নয়, জগন্নাথদেবের চিরাচরিত ‘আনসারাঘরা’ রীতিকে ‘কোয়ারেন্টাইন’ আখ্যা দেওয়াতেও প্রবল ক্ষুব্ধ তিনি। তাঁর মতে, এটা শ্রীমন্দিরের অপমান। তাঁর বক্তব্য, ‘স্বয়ং ঈশ্বর কী করে কোয়ারেন্টাইনে থাকতে পারেন! তাঁদের মুখে থার্মোমিটার দেওয়াই বা কেমনতর কল্পনা! এই সবগুলোই প্রচলিত বিশ্বাসের প্রতি ঘোর অন্যায়। এর বিচার হওয়া চাই।’
এমনিতেই তো এবছর রথযাত্রায় যোগ দিতে সাধারণ মানুষকে নিরস্ত করা নিয়ে হিমশিম মন্দির প্রশাসন। তার ওপর এই আগুন! সব মিলিয়ে শ্রীমন্দিরের পুলিশেরই গায়ে প্রবল কম্প।

You may also like

Leave a Reply!